You are currently viewing চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা | চিয়া সিড খাওয়ার সময় ও কিডনির জন্য কতটা ভালো?

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা | চিয়া সিড খাওয়ার সময় ও কিডনির জন্য কতটা ভালো?

চিয়া সিড আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। নিয়মিত ও নিয়ম করে বিভিন্ন খাবারের সাথে পরিমাণমতো চিয়া সিড খেলে যেমন আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, তেমনি আমাদের শরীরকে নানারকম রোগ বালাই থেকে দূরে রাখবে ও সাথে ওজন নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ সহায়তা করবে। আমাদের এজন্য চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। গত পোস্টে আমরা শুধু ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করেছিলাম। আজ আমরা আমাদের এই পোস্টে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও নিয়মমতো খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যাবে তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো।

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারিতা

খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও খাওয়ার উপযুক্ত নিয়ম নিয়ে চিন্তায় থাকলে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে নিন।

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ দিন সকালে খালি পেটে অথবা রাতে খাওয়ার পরে ঘুমানোর আগে ১-২ চা চামচ পানিতে ভিজিয়ে রেখে ২০-৩০ মিনিট পর কাস্টার্ড, স্মুদি, সালাদ ও অন্যান্য ফলের জুসের সাথে খেতে পারেন। এর ফলে অ্যাসিডিটি কমে যাবে, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে আসবে।

চিয়া সিডের নিজস্ব কোনো স্বাদ নেই। আপনি এই চিয়া সিড খাবারের সাথে বা অন্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারবেন। সাধারণত, চিয়া সিড শুকনো ছাড়া যে কোনভাবেই খাওয়া যেতে পারে। আপনাদের সুবিধার জন্য কিছু নিয়ম বর্ণনা করছি।

চিয়া সিড খাওয়ার কিছু বিশেষ উপকারিতা

সালাদের সাথে

সালাদ আপনার খাবারে যোগ করলে পুষ্টির মান অনেক বেড়ে যায়। এই ক্ষেত্রে সালাদের সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে পারবেন।

বিভিন্ন ড্রিংকস বা জুসের সাথে

এই গরমে ভীষণ ক্লান্তির পর ঠাণ্ডা শরবত বা জুস খেতে সবারই ভালো লাগে। তাই নানা ধরনের ড্রিংকসের সাথে বা ফলের জুসের সাথে এই চিয়া সিড মিশিয়ে গরম থেকে শান্তির জন্য খুব আরামে খেতে পারেন। বাইরের দেশে অনেকেই শরবতের সাথে মিশিয়ে খেতে খুবই পছন্দ করে থাকে।

মেথি খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে নিন।

স্মুথির সাথে মিশিয়ে

শরবত বা জুসের সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি অনেক মানুষই স্মুথির সাথে এই চিয়া সিড খেতে পছন্দ করেন। তাই শসার সাথে চিয়া সিড ও টক দই মিশিয়ে বা অন্যান্য যেকোনো ফলের সাথে ব্লেন্ডার করে মজাদার স্মুথি তৈরি করে ফেলতে পারেন।

চিয়া সিডের নিজস্ব কোন স্বাদ  না থাকার কারণে আপনি মূলত এইসব মুখরোচক খাবারের সাথে মিশিয়ে যেমন কাস্টার্ড, ওটস ইত্যাদির সাথে সহজেই খেতে পারবেন। বিশেষ করে খালি পেটে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে ১ থেকে ২ চা চামচ চিয়া সিড পানিতে ভিজিয়ে রেখে অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর খেলে স্বাস্থ্য ও স্বাদের ফলাফল একসাথে পাবেন।

চুলের বিশেষ যত্নের ক্ষেত্রে মেথি ও কালোজিরার কাজ জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

চিয়া সিড বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন

কিছু উপকারিতা

চিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই নিয়মিত চিয়া সিড খেলে আপনি অনেক ধরনের উপকারিতা পাবেন। 

এই চিয়া সিড শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে, এতে অনেক বেশি পরিমাণে খাদ্য আঁশ থাকে যা আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে ধীরগতি করে। এর ফলে বেশি বেশি ক্ষুধা লাগে না বা অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও, উচ্চমাত্রার ফাইবার এবং প্রোটিন থাকার কারণে ওজন খুবই দ্রুত কমে, সাথে নিয়ন্ত্রণ করতেও খুব ভালো ভূমিকা রাখে। নিয়ম করে খাওয়ার ফলে সুষম খাদ্য খাবার অভ্যাস নিশ্চিত হওয়ার সাথে অপ্রয়োজনীয় মোটা হওয়ার আশংকা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কিন্তু দেখা গেছে যে, চিয়া সিডে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রে পরিমাণ অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। এতে থাকা ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, কোয়ারসেটিন নামক উপাদান হৃদরোগ ও প্রদাহ দূর করে, অস্টিওপোরোসিসের বিশেষ ঝুঁকি কমায়, কেম্পফেরল উপাদান ক্যান্সারসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী রোগের ঝুঁকি কমায়। এই চিয়া সিডে থাকা মাইরিসেটিন অ্যালার্জি সমস্যার বিরুদ্ধেও বেশ কার্যকরী।

কালোজিরা তেলের বিশেষ উপকারিতা জানতে এখানে ক্লিক করুন

মানব শরীরে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে বেশি বাজে প্রভাব ফেলে LDL কোলেস্টেরলের কারণে। যখন রক্তে এই বাজে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়, তখন বিভিন্ন ধরনের রোগের সমস্যা ও ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিয়মিত চিয়া সিড খেলে এতে থাকা ওমেগা – ৩ উপাদান রক্তে থাকা বাজে কোলেস্টেরল তুলনামূলক কমিয়ে নানা ধরনের উপকারী উপাদানের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তে কার্যকরী প্রতিরোধী পুষ্টির ভারসাম্য রক্ষা করে। ফলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের পাশাপাশি এজন্য পুষ্টিবিদ ও ডাক্তাররা হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়ার পরামর্শ দেন।

চিয়া সিড এর  বিভিন্ন কার্যকরী উপাদান দেহের কোষগুলোকে জীবিত রাখে এবং হৃদপিণ্ড সচল রাখে। তবে, রক্তে বেশি পরিমাণে শর্করা থাকলে ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিয়া সিড নিয়মিত সকালে বা রাতে ঘুমানোর আগে খেলে শরীরে থাকা অতিরিক্ত শর্করার পরিমাণ কমে যায়। এছাড়াও, এই চিয়া বীজ শরীরের গ্লুকোজ নিঃসরণ কমিয়ে রক্তে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি কোনো ক্ষতি হবে? বিস্তারিত জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন।

বোন মিনারেল ডেনসিটি মানবশরীরের হাড়ের স্বাস্থ্যের রক্ষার জন্য খুবই উপকারী। চিয়া সিডে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম দেহের বোন মিনারেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এতে করে আমাদের হাড় বেশ মজবুত ও বেশ শক্তিশালী হয়। বাজারে পাওয়া কৃত্রিম ক্যালসিয়ামের থেকে এই চিয়া সিড প্রতিদিন সঠিকভাবে ও সঠিক নিয়মে ভালোমতো খেলে কোনো রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া হাড়ের গঠন মজবুত হতে সাহায্য করে। তাছাড়া, হাড়সহ, অস্থিমজ্জার জ্বালাপোড়া এবং হাড় ক্ষয় হওয়া থেকে রক্ষা করে।

শরীরের মলাশয় বা কোলন আমাদের দেহ থেকে ময়লা, বাজে বা উচ্ছিষ্ট পদার্থ বের করার কাজ করে। যদি এটি পরিষ্কার না থাকে, তাহলে মলে থাকা অন্যান্য জীবাণু থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেড়ে যায়। তবে নিয়ম করে চিয়া সিড খেলে উপকারিতা হিসেবে কোলন পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ফলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

কালজিরা চিবিয়ে খেলে কেমন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে জানতে আমাদের এই পোস্টটি দেখুন।

চিয়া  সিড নিয়ম করে খেলে দেহের ইমিউনিটি ক্ষমতা বেড়ে যায়। কারণ, এই চিয়া সিডে শরীরের জন্য উপকারী অনেক ধরনের পুষ্টিকারী উপাদান থাকে। নিয়মিত হারে চিয়া সিড খেলে হাড় মজবুত করার পাশাপাশি অনেক দুর্বলতা থাকলেও তা দূর করে। এতে আপনার হৃদপিণ্ড সচল রাখে যা আপনার পুরো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

শরীরে যে টক্সিন পদার্থ রয়েছে তা বিভিন্ন প্রকারের শারীরিক সমস্যা ও অসুবিধা তৈরি করে। এই চিয়া সিডে থাকা ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, মিনারেল ও নানা উপকারী অ্যাসিড আমাদের শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে বেশ সাহায্য করে থাকে। ফলে নিয়মিত চিয়া বীজ খাওয়ার ফলে শরীর সবল ও সুস্থ থাকে।

কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম এই পোস্ট থেকে জেনে নিন।

যদি আমাদের হজম প্রক্রিয়া ঠিকভাবে পরিচালিত না হলে সেটি অবশ্যই বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতা তৈরি করে। যারা খেতে পারেন না বা ভালো করে খেতে চান না, ঘুম ঠিকমতো আসে না বা পুষ্টিহীনতায় ভুগেন তাদের জন্য এই চিয়া সিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য উপাদান। এজন্য নিয়মিত চিয়া সিড খেলে হজমের সমস্যা দূর হয় এবং মুখের রুচি বাড়ানো সম্ভব হয়।

বেশি পরিমাণে না খেয়ে ঠিক নিয়মে খেলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি খুব ভালোভাবে পূরণ হয়ে থাকে। কেননা, প্রতি ১০০ গ্রাম চিয়া সিডে প্রায় ১৬.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে যা সাধারণত মাছ, মাংস থেকেও পাওয়া যায়। অনেকে এই কারণে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে চিয়া সিড খাওয়া পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

আপনি কি জানেন প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাবেন? জেনে নিন এই পোস্ট থেকে।

চিয়া সিড ঠিক নিয়মে খেলে দেহের তাপমাত্রা  ও অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কাজ স্বাভাবিক রাখে। এতে করে আপনার উদবিগ্নতা, দুশ্চিন্তা, রক্তচাপের ঝুঁকি ইত্যাদি বেশ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি মানুষের মানসিক শান্তি প্রদানে অনেক সহায়তা করে এবং প্রতিদিন সকালে ও রাতে খেলে উপকার পাবেন।

শরীরে ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে তা দেহের কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে। ফলে এই প্রেশার বা রকচাপ হঠাৎ বেড়ে গেলে শরীর কাজ করা বন্ধ করে দেয় বা কাজ ঠিকমতো করে না। বিশেষ করে এই ক্ষেত্রে চিয়া সিড রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং অন্যান্য ক্ষতিকর সম্ভাবনা থেকে দূরে রাখে।

চিয়া সিডের উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে আমাদের এই পোস্টটি বিস্তারিত পড়ে নিন।

এছাড়াও, দুধ, পানির মিশিয়ে খেলেও ভালো উপকার পাওয়া যাবে। যেহেতু চিয়া সিডে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ ও অন্যান্য গুণাগুণ রয়েছে তাই নিয়ম অনুসারে খেলে অবশ্যই অভাবনীয় উপকার পাওয়া যাবে। অপরদিকে, অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে আমাদের রক্ত পাতলা করার পাশাপাশি পেট ব্যথা, হজমে অক্ষমতাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যহানির সমস্যা তৈরি করতে পারে। এজন্য আমাদের সঠিক মাত্রায় ও সঠিক নিয়ম অনুসারে খেতে হবে।

আমাদের থেকে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির চিয়া সিড কিনতে এখনই ওয়েবসাইটের পেইজে ভিজিট করুন অথবা আমাদের +8801737084429 এই নম্বরে কল করে আপনার মূল্যবান অর্ডারটি নিশ্চিত করুন। আমরা আপনাদের সেবায় ও সঠিক পণ্য দিতে সর্বদা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

চিয়া সিড খাওয়ার সময়

খালি পেটে সকালে ও রাতে খাওয়ার পর ঘুমানোর আগে চিয়া সিড খাওয়ার উপযুক্ত সময়। সাধারণ তাপমাত্রায় প্রায় ১ গ্লাস পানিতে ২ চামচ চিয়া সিড ৩০ মিনিট চিয়া সিড ভিজিয়ে রেখে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাবেন। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

চিয়া সিড কিডনির জন্য কতটা ভাল

খেজুর খাওয়ার কি কি উপকারিতা রয়েছে জানেন কি? বিস্তারিত জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে নিন।

চিয়া সিড কিডনির জন্য কতটা ভাল?

চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে যা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। এছাড়াও, চিয়া সিডে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে যা বাজে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং কিডনির চাপ কমায়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিডনির কোষগুলোকে ফ্রি র‌্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে ও উচ্চমাত্রায় থাকা প্রোটিন কিডনির টিস্যু মেরামতে সাহায্য করে। তাই নিয়মমতো খেলে কিডনির কোনো ক্ষতি হয় না।

তবে, যারা ইতোমধ্যে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া জরুরি। কারণ চিয়া সিডে পটাশিয়াম ও ফসফরাসের পরিমাণ বেশি থাকে বিধায় বেশি পরিমাণে খেলে বাজে প্রভাব ফেলতে পারে। শরীরে যদি ফসফরাসের মাত্রা বেড়ে যায়, তবে হাড় দুর্বল হয়ে যেতে পারে, হাইপারপ্যারাথাইরয়েডিজম (Hyperparathyroidism) হতে পারে, এবং রক্তনালীতে ক্যালসিয়াম জমতে পারে। রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে নানা ব্যধি যেমন মাংসপেশীর দুর্বলতা, হৃৎপিণ্ডের সমস্যা এমনকি প্যারালাইসিস পর্যন্ত হতে পারে। ফাইবারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এই অতিরিক্ত ফাইবার কিডনি রোগীদের জন্য হজমের সমস্যা তৈরি করে। যদি ডাক্তার রক্ত জমাট বাধার কোনো ওষুধ দেয়, তাহলে চিয়া সিডের জেল সেই ওষুধের সাথে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এজন্য যারা কিডনি রোগী রয়েছেন তাদের খাওয়ার সময় নিয়মিত রক্তে ফসফরাস এবং পটাশিয়ামের মাত্রা পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত যাতে কোনো সমস্যা না হয়।

আপনি চাইলে এর বিকল্প হিসেবে চিয়া সিডের পরিবর্তে বাদাম, আখরোট, কুমড়ার বীজ, তিল, এবং তিল খেতে পারেন কারণ এতে ফসফরাস এবং পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেকাংশে কম থাকে।

আপনি আমাদের তিস্তা ফুডের সেরা ও প্রিমিয়াম কোয়ালিটির পিনাট বাটার কিনে খেতে পারেন। আমাদের এই পিনাট বাটার উৎকৃষ্টমানের বাদাম, পিঙ্ক সল্ট ও খাঁটি মধুর মিশ্রণে তৈরি। অন্য কোনো প্রকার রাসায়নিক পদার্থ এতে মেশানো হয় না।

কিডনি রোগ সত্যিকারের একটি নিরব ঘাতক। তাই আমাদের অবশ্যই এই রোগ নিয়ে হেলা করা উচিত নয়। আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং কোনোরকম ভুল ধারণা থেকে বিরত থাকতে হবে। আরও খেয়াল রাখতে হবে যে কোন খাবার গুলো কিডনির জন্য ভালো আড় কোনগুলো ক্ষতিকর।

গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

ঘরে বসে খাঁটি ঘি বানাতে চান? আমাদের এই পোস্টটি পড়ে পর্যায়ক্রমে ঘরে বসেই ঘি বানিয়ে নিন।

গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

গর্ভাবস্থায় দিনে ১-২ টেবিল চামচ চিয়া সিড ১ কাপ পানিতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে পানিসহ খেলে উপকার পাওয়া যাবে। ১০০ গ্রাম চিয়া সিডে প্রায় ২০ গ্রাম পরিমাণ প্রোটিন থাকে, অর্থাৎ ১ চামচে মোটামুটি ৩ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। ফলে এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও আয়রন গর্ভবতী মহিলাদের জন্য স্বাস্থ্যকর। সকালের নাস্তা, স্মুদি, ডেজার্ট, অথবা সালাদে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এটি একেবারে নিরাপদ।

মায়েদের সন্তানের জন্য দুধ উৎপাদনের জন্য অতিরিক্ত ৫০০ ক্যালরি শক্তির প্রয়োজন হয়। চিয়া সীডে প্রতি ২৮ গ্রামে প্রায় ১৩৮ ক্যালরি সরবরাহ করে। তাই স্বাস্থ্যকর ক্যালরি পেতে চাইলে তাদের ডায়েটে চিয়া সিড যুক্ত করতে পারেন। এটি খেলে বুকের দুধে ডিএইচএ কন্টেন্ট বাড়াতে সাহায্য করে যা শিশুর মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।

আপনি অন্যান্য খাবারের সাথে এই চিয়া সিড কে রাখতে পারেন। এতে যেমন আপনি দৈনিক কাজ করার শক্তি পাবেন, তেমনি অন্যান্য সকলের চেয়ে মেধা ও চিন্তাধারাতেও এগিয়ে থাকবেন। আমাদের থেকে কোন কিছু জানতে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন অথবা আমাদের কল করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।

 

তথ্যসূত্র

Harvard UniversityChia Seeds – The Nutrition Source

Healthline35 Fun Ways to Eat Chia Seeds

Martha StewartHow to Eat Chia Seeds the Right Way

Eating WellChia Seeds: Health Benefits, Nutrition and Tasty Recipes

WikiHowHow to Eat Chia Seeds: 21 Delicious & Nutritious Ways

Dr. AxeHow to Eat Chia Seeds: Whole, Ground, Soaked or Raw?

Bonappetit- Chia Seeds: Health Benefits, Nutrition, Recipes and More

 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

হ্যাঁ। চিয়া সিড দুধের সাথে খাওয়া যায়। আপনি চাইলে ফলের জুসের সাথেও খেতে পারেন।

না। গরম দুধের সাথে চিয়া বীজ খেলে এর গুণাগুণ ও পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

নিরাপদে খেতে চাইলে প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ গ্রামের মতো চিয়া বীজ খাওয়া উচিত।

১ গ্লাস পানিতে প্রায় ১ থেকে ২ টেবিল চামচ পরিমাণ চিয়া বীজ মেশানো উচিত।

Mobasher Khan

Mobasher Khan is a skilled content writer with expertise in SEO. He has successfully contributed to companies like Tista and Tista Food, where his engaging content and SEO skills were highly valued. Mobasher sharpens his writing and digital skills through research and technical writing. He was the runner-up in Content Mania, showcasing his talent for creating compelling content. Beyond work, Mobasher loves exploring different industries and writing. His diverse interests fuel his creativity and versatility as a content writer. Mobasher is dedicated to excellence and continually seeks new learning opportunities to help organizations succeed.

Leave a Reply