মধু এক ধরনের মিষ্টি ও ঘন পদার্থ যা তরল অবস্থায় থাকে। এই মধু ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি হয়। মধু যখন ঠিকভাবে ঘনীভূত হয়, তখন মৌমাছিরা একে মোম দিয়ে ঢেকে রেখে পরে খাদ্যের উৎস হিসেবে ব্যবহার করে। আমরা আমাদের অনেক পোস্টে মধু নিয়ে, এমনকি বিভিন্ন জাতের মধু নিয়ে নানা রকম আলোচনা করেছি। আমরা আপনাদের জন্য এই পোস্টে আমাদের অন্যান্য পোস্ট মেনশন করে দিবো যাতে আপনি তা পড়তে পারেন। আজ আমরা আপনাদের জন্য বিভিন্ন খাবারের সাথে বিভিন্ন ভাবে মধু খাওয়ার নিয়ম কি কি তা নিয়ে আজ বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আপনাদের জন্য আমরা বাজারের সেরা মধু সরবরাহ করে থাকি। আমাদের থেকে মধু কিনতে আমাদের তিস্তা ফুডের ওয়েবসাইটের পেইজে ভিজিট করুন অথবা কল করুন +8801737084429 এই নম্বরে।
মধু খাওয়ার নিয়ম
মধু খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে সর্বোচ্চ ২ টেবিল চামচ পরিমাণ বা ৩০ গ্রাম। তাছাড়া শিশুদের জন্য পরিমাণ কমিয়ে ১ টেবিল চামচ বা ১৫ গ্রাম করে খাওয়ানো যাবে। কারণ, মধু খাওয়ার পরিমাণ আমাদের ওজন, বয়ন, স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং অন্যান্য কার্যকলাপের উপর নির্ভর করে থাকে।
খালি পেটে (ভোরে মধু খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার এর পুষ্টিগুণ সহজেই পাওয়া যায়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি এক চামচ মধু খান, তাহলে ভালো ঘুম আসবে এবং সকালে কাজের শক্তি পাওয়া যাবে। নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি মধু ও সাথে বাদাম খেলে পুনরায় শক্তি ফিরে পাওয়া যায়। ঠাণ্ডা লাগলে বা খুসখুসে কাশি থাকলে সকালে গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
সকালে মধু খাওয়ার নিয়ম
সকালে মধু খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। সকালে মধু খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১ থেকে ২ চা চামচ মধু সরাসরি খেতে পারবেন। কিন্তু, রোজ সকালবেলা হালকা গরম পানির সাথে ১ থেকে ২ চা চামচ হালকা লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে পান করলে ব্যথাসহ আরও নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বাঁচা যাবে। শিশুদের জন্য ১ টেবিল চামচ মধু দিবেন। এক্ষত্রে, দিন ও রাতের হিসেব আলাদা।
রাতে মধু খাওয়ার নিয়ম
রাতে মধু খেলেও আপনি অনেক উপকারিতা পাবেন। রাতে মধু খাওয়ার নিয়ম হিসেবে রাতের খাবার খাওয়ার ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর ঘুমাতে যাবার আগে হালকা গরম পানিতে ১ থেকে ২ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। ফলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে, ঘুম ভালো হবে। এছাড়া, কয়েক ফোঁটা লেবুর রসের সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি কমে যাবে, সাথে দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ কমবে। ঘুমানোর আগে মধু খেলে ১ ঘণ্টা আগে খেলে আরও ভালো ফলাফল পাবেন।
আমাদের অন্য পোস্টে কালোজিরা ফুলের মধুর উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পোস্টটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
রসুন ও মধু খাওয়ার নিয়ম
রসুন ও মধু খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী, একটি মাঝারি সাইজের রসুনের তিন থেকে চার কোয়া কুঁচি করে কেটে রাখবেন। এরপর, সেই কুঁচি করা রসুন প্রতিদিন সকালবেলা খালি পেটে এক চামচ মধু ও এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারবেন। আপনি এই মিশ্রণ তৈরি করে ফ্রিজেও সংরক্ষণ করতে পারবেন। প্রাচীনকালেও নানা সমস্যার প্রতিকার হিসেবে রসুন ও মধুর মিশ্রণ ব্যবহার করা হতো। রসুন ও মধু একসাথে খেলে যেমন শরীর ঝরঝরে থাকবে, তেমনি ক্লান্তি দূর হবে।
খেয়াল রাখতে হবে যে, রসুনটি যাতে তাজা ও মধুটি খাঁটি থাকে। তাই, মৌসুমি মধু ও রসুন ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত খালি পেটে খেলে সবচেয়ে ভালো, কিন্তু বেশি পরিমাণে খাবেন না। আপনার কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে নিবেন।
আমরা একটি পোস্টে সরিষা ফুলের মধু চেনার উপায় ও নিয়ম নিয়ে আলোচনা করেছি। বিস্তারিত জানতে আরও পড়ুন।
স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময়
আমাদের পরিবারের বড় সদস্যরা শরীরের যত্নের জন্য সেই ছোটবেলা থেকেই মধু খেতে বলেন। তাই,যারা নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন, তারা অবশ্যই মধু নিয়মিত খাবেন। অনেকেই আছেন, যারা ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন এবং নিয়ন্ত্রণ করতে চান। তাদের জন্য মধু ছাড়া প্রাকৃতিক তেমন কোনো ভালো উপাদান আছে কি না বলা যায় না। এই মধুই দেহের খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে এনে প্রশান্তি দেয়, তাছাড়া, উচ্চ রক্তচাপ, মুখে বার্ধক্যের ছাপ ইত্যাদি কমিয়ে দেয়। এতে থাকা ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক, আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন রয়েছে।
মধু খাওয়ার সত্যি বলতে তেমন কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। আপনি যেকোনো সময়ই খেতে পারবেন। কিন্তু হ্যাঁ, সকাল বেলা খালি পেটে এবং রাতে ঘুমাতে যাবার আগে মধু খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। আপনি পরিষ্কার হাতের তালুতে মধু নিয়ে চেটেও খেতে পারেন কিংবা মধু দিয়ে শরবত বানিয়ে পান করতে পারবেন।
বয়স্কদের মধু খাওয়ার নিয়ম
বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্মৃতিশক্তিও কমতে থাকে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা মধু পান নিয়মিত করে এসেছেন, তাদের স্মৃতিশক্তি ক্ষয় তেমন একটা হয়নি। পাশাপাশি মধুর অন্যান্য উপকারিতার জন্য তাদের দৈহিক গঠনও অনেক ভালো।
বয়স্ক যারা আছেন, তাদের মধু খাওয়ার নিয়ম আলাদা না হলেও কিছু বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে। কারণ, দিনশেষে বয়স একটি বড় বিষয়। বয়স্কদের সকালবেলা ১০ গ্রাম বা ১ থেকে ২ চা চামচ পরিমাণ মধু খেলে ফুসফুসের সমস্যা বা কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
যারা বয়স্ক আছেন, তা নিয়ম হিসেবে গরম পানির সাথে খালি পেটে, চা বা কফির সাথে, টোস্ট, দই বা ওটমিলের সাথে খেতে পারেন। অনেকের রান্নার তরকারিতে ঝাল লাগে। তাই তখন হালকা মিষ্টির জন্য মধু ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু, এতে মধুর কিছু পুষ্টিগুণ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিয়ম মেনে খেলে অবশ্যই কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা, হজমশক্তি বৃদ্ধি সহ নানা উপকার পাবেন।
মনে রাখবেন, বেশি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সাথে ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যায় পরতে পারেন। ডায়াবেটিস থাকলে মধু খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না।
মধুর বিশেষ উপকারিতা ও এর অবিশ্বাস্য গুণাগুণ জানতে এখান থেকে পড়ুন।
বাচ্চাদের মধু খাওয়ার নিয়ম
বাচ্চাদের জন্মের পর যে মধু খাওয়ানোর নিয়ম রয়েছে তা আসলে উচিত না। মধুতে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে। এর নাম হচ্ছে ইনফ্যান্ট বোটুলিজম যা ‘ফ্লপি বেবি সিনড্রোম’ নামেও পরিচিত।
যেসব বাচ্চাদের বয়স ১২ মাস বা ১ বছরের চেয়ে কম হয়, তাদের পরিপাকতন্ত্রে এই ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করে। তাই তাদের কোনোভাবেই মধু খেতে দেওয়া উচিত নয়। এজন্য ১ বছরের বেশি বয়স হলে মধু দেওয়া যেতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে এক ড্রপ করে মধু দিয়ে শুরু করা যায়, পরে আস্তে আস্তে এর মাত্রা বাড়াতে পারবেন।
বাচ্চাদের গরম পানি বা গরম দুধের সাথে মধু মিশিয়ে দিবেন না। মধুকে কখনো গরম বা রান্না করে খাওয়াবেন না। দুধের সাথে মধু খাওয়াতে চাইলে দুধ ঠাণ্ডা করে নিন। বাচ্চাকে খালি পেটে সকাল বেলা এক ড্রপ মধু খাওয়ালে বেশি ভালো উপকার পাবেন। দেখবেন যে নতুন আনা মধু থেকে পুরাতন মধু অনেক বেশি কাজে দিচ্ছে।মাঝে মাঝে কাঁচা লেবুর রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে দেখবেন অ্যাসিডিটি কমে গেছে।
নিয়মিত ঘি খেলে আমাদের শরীরের অনেক পরিবর্তন আসে। তাই কি কি পরিবর্তন আসে এবং এর উপকারিতা জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন।
ইসলামে মধু খাওয়ার নিয়ম
আমরা যারা মুসলিম, তাদের জন্য এই মধু হলো সবচেয়ে বরকতময় একটি রিজিক। ইসলামে সুন্নতি তরিকায় মধু খাওয়ার নিয়ম হিসেবে, ঘুম থেকে উঠার পর সকালবেলা খালি পেটে এক চামচ মধু হাতের তালুতে নিয়ে জিহবা দিয়ে চেটে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। মধুর সাথে জিহবার লালা একত্রে মিশ্রিত হয় ও শরীরের হজমশক্তি বাড়ায়।
মধুতে অনেক বেশি উপকারিতা আছে জন্যই মহান আল্লাহপাক আমাদেরকে মধু খেতে বলেছেন। মধু নিয়ে কোরআনের আয়াত আপনাদের কাছে তুলে ধরছি-
“মুত্তাকিদের যে জান্নাতের ওয়াদা দেওয়া হয়েছে তার দৃষ্টান্ত হলো, তাতে আছে নির্মল পানির নহর, দুধের ঝরনা, যার স্বাদ পরিবর্তিত হয়নি, পানকারীদের জন্য সুস্বাদু সুরার নহর এবং আছে পরিশোধিত মধুর ঝরনা।” (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ১৫)
মধুর ঔষধি গুণাগুণ নিয়ে আল্লাহ্ পাক বলেছেন,
“তোমার রব মৌমাছির প্রতি ইলহাম করেছেন যে পাহাড়ে, বৃক্ষে আর উঁচু চালে বাসা তৈরি করো। অতঃপর তুমি প্রত্যেক ফল থেকে আহার করো এবং তুমি তোমার রবের সহজ পথে চলো। তার পেট থেকে এমন পানীয় বের হয়, যার রং ভিন্ন ভিন্ন, যাতে রয়েছে মানুষের জন্য রোগ নিরাময়। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন আছে ওই জাতির জন্য, যারা চিন্তা করে।” (সুরা : নাহল, আয়াত : ৬৮-৬৯)
বিভিন্ন হাদিস অনুসারে,
আব্দুলাহ্ ইব্ন মাসঊদ (রা.) হতে বর্ণিত যে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘‘তোমরা কোরআন ও মধু দিয়ে ব্যাধি নিরাময়ের ব্যবস্থা করবে’’। (ইব্ন মাজাহ, আস-সুনান, খ. ২, পৃ. ১১৪২, হাদিস নং-৩৪৫২)।
প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধুর উপকারিতা নিয়ে বলেন, “মধুতে আরোগ্য নিহিত আছে।” (বুখারি, হাদিস:- ৫২৪৮)
রাসূল (সা.) এর কাছে এক সাহাবি এসে তার ভাইয়ের পেটের অসুখের কথা বললে রাসুল (সা.) তাকে মধু পান করানোর পরামর্শ দেন এবং এতে সে সুস্থ হয়ে ওঠে। (বুখারি, আস-সহিহ, খ. ৫, পৃ. ২১৫২, হাদিস: ৫৩৬০)
এছাড়াও, বুখারী শরীফে বর্ণিত হাদিসে এক লোক হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর কাছে এসে তার ভাইয়ের পেটের সমস্যার কথা জানান। তখন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাকে মধু খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। সেই লোকটি দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনও এসেও সেই একই কথা বললে প্রিয়নবী রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাকে আবারও মধু খাওয়ানোর নির্দেশ দেন। অবশেষে, মধু খাওয়ার পর লোকটির ভাইয়ের ঠিকই পেটের সমস্যার সমাধান হয়।
আমাদের অন্য পোস্টে আমরা গরম ভাতে ঘি খেলে কি উপকার পাবেন তা নিয়ে আলোচনা করেছি। বিস্তারিত জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন।
আমরা আমাদের পোস্টে সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য খাবার নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্নের বিভিন্ন উত্তর দিয়ে থাকি, যা একেবারে সঠিক ও এর তথ্যসূত্র নির্ভুল। তাই, আপনাদের কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানান। আমাদের থেকে কোনো প্রোডাক্ট বা পণ্য কিনতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের শপ পেইজে এখনই ভিজিট করুন অথবা আমাদের +8801737084429 এই নম্বরে কল করুন।
তথ্যসূত্র
Medical News Today – Honey: Health Benefits, Uses and Risks – Medical News Today
WikiHow – 11 Ways to Take Honey
Brightland – What to Eat with Honey: 11 Delicious Pairings
Medicine Day – 11 Health Benefits of Eating a Spoonful of Honey Every Day
Times of India – Why a spoonful of honey daily is a must have for women
Healthshots – 7 benefits of drinking honey with warm water – Healthshots
সাধারণ জিজ্ঞাসা
মধু খেলে কি দাঁতের ক্ষতি হয়?
হ্যাঁ। অতিরিক্ত মধু খেলে দাঁতের ক্ষতি হয়। কারণ, এর ফলে ধীরে ধীরে দাঁতের অ্যানামেল ক্ষয় হয়ে য়ায়, যা দাঁত দুর্বল, ভঙ্গুর ও দাঁতের স্বাভাবিক রং বা চাকচিক্য নষ্ট করে ফেলে।
ওজন বাড়াতে কখন মধু খাওয়া উচিত?
ওজন বাড়াতে সকালে ও রাতে দুইবেলা মধু খাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে, খাবারের ১ ঘণ্টা পরে হলুদ ও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। আপনি চাইলে দুধ যোগ করতে পারেন। দুটোতেই ভালো পরিমাণে শর্করা থাকে বিধায় আপনার ওজন বাড়াতে উপযোগী হবে।
কতদিন পর পর মধু খাওয়া উচিত?
কতদিন পর পর খাবেন তার কোনো নিয়ম নেই। নানা স্বাস্থ্য সমস্যা এড়াতে আপনার প্রতিদিনই ১ চামচ বা ১০ থেকে ১২ গ্রাম মধু খাওয়া উচিত।
মধু খেলে কি গ্যাস হয়?
না। মধু খেলে গ্যাস হয় না। কিন্তু, মধুতে ফ্রুকটোজ থাকার কারণে অনেকের পেটে ঠিকমতো হজম হয় না। তাই মধু খেলেই গ্যাস, পেট ফোলা ধরনের সমস্যা তৈরি করে। যারা, এমন সমস্যায় পড়েছেন, তাদের মিষ্টি উপাদান থেকে দূরে থাকা উচিত।