You are currently viewing ঘি এর উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি? ঘি কি ফ্রিজে রাখা যায়?

ঘি এর উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি? ঘি কি ফ্রিজে রাখা যায়?

আমরা আমাদের আগের পোস্টে ঘি ও মাখনের কি কি পার্থক্য রয়েছে, ঘি কিভাবে খেতে হয়, বাচ্চাদের জন্য খাওয়ার নিয়ম ও এর বিশেষ পুষ্টিগুণ নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। এই ঘি আমাদের অনেক বেশি উপকারে আসে। ঘি তে আপনি অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান পাবেন যা আপনার শরীরের জন্য অনেক বেশি উপযোগী। তাই প্রতিদিন ১ থেকে ২ চামচ ঘি খেলে আপনি অনেক রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাবেন। তাই আপনাদের জন্য ঘি এর উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আজ বিস্তারিত বর্ণনা করবো।

প্রতিদিন ঘি খেলে কি হয়?

প্রতিদিন ঘি খেলে কি হয়?

  • প্রতিদিন ঘি খেলে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে।
  • হজমশক্তি উন্নত হবে।
  • হাড়ের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে।
  • হাড়ের জয়েন্টে পুষ্টির যোগান দেয়।
  • মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • চেহারার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পায়।
  • ত্বক ও চুল ভালো রাখে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

তবে খেয়াল রাখতে হবে, ঘি অল্প পরিমাণে খেতে হবে। বেশি খেলে উল্টো ক্ষতি হতে পারে।

তিস্তা ফুড থেকে শতভাগ ভাগ খাঁটি ও নিজস্বভাবে বানানো সেরা মানের পাবনার বিখ্যাত খাঁটি গাওয়া ঘি পেতে অর্ডার করতে গাওয়া ঘি এর পেইজে ভিজিট করুন অথবা কল করুন +8801737084429 এই নম্বরে।

ঘি খাওয়ার উপকারিতা কি কি তা বলা হয়েছে

ঘি এর উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রতিদিন ঘি খেলে আপনি অনেক উপকার পাবেন। বেশি পরিমাণে ঘি খেলে তার অপকারিতা সম্পর্কেও নিচে আপনাদের সুবিধার জন্য ঘি এর উপকারিতাগুলো হলো-

ঘি খাওয়ার উপকারিতা

  • কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর করে।
  • ঘি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
  • আর্থ্রাইটিস অর্থাৎ জয়েন্টের ব্যথার সমস্যা দূর করে।
  • দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে।
  • শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে।
  • মস্তিষ্কের কোষের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • দেহের কোষের কার্যকারীতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের কোষ উন্নত করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে সতেজ ও মসৃণ করে
  • গর্ভাশয়ের ফাইব্রয়েড, গন্ধি ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি কমায়।
  • রক্তে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

চিয়া সিড কিভাবে খাবেন তার নিয়ম ও নিয়মতো খেলে কি কি উপকার পাবেন তা জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন।

ঘি খাওয়ার অপকারিতা কি কি

ঘি খাওয়ার অপকারিতা

ঘি খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমন ঘি এর অপকারিতাও রয়েছে। এজন্য আমাদের সবসময় পরিমিত পরিসরে ঘি খাওয়া উচিত। ঘি খাওয়ার অপকারিতাগুলো হলো-

  • অতিরিক্ত ঘি খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
  • স্ট্রোক, হৃদরোগসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়বে।
  • অতিরিক্ত ঘি ওজন বৃদ্ধি করে।
  • দুধে অ্যালার্জি থাকলে ঘি খেলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়তে পারেন।
  • ঘি তে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকায় অতিরিক্ত খেলে ফ্যাট জনিত সমস্যা সৃষ্টি করে।
  • ঘি বেশি খেলে বদ হজমের সমস্যা হয়।
  • ঘি তে অক্সিডাইজড কোলেস্টেরল থাকে যা নিয়মিত কোলেস্টেরল থেকে বেশি ক্ষতিকারক।
  • মাত্রাতিরিক্ত ঘি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
  • বেশি ঘি খাওয়ার ফলে পরিপাকতন্ত্রের উপর নেতিবাচক প্রভাব পরে।

আপনি কি জানেন আমাদের দৈনিক খাবারে খেজুরের গুড় ঠিক কতটা উপকারী খাবার? আমাদের পোস্টটি পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন।

বাচ্চাদের জন্য ঘি এর উপকারিতা

বাচ্চাদের ঘি দিলে বা দুগ্ধজাত খাবার ঠিক কতটা উপকারী হয় তা আপনাদের জন্য বিস্তারিত তুলে ধরবো-

ওজন বাড়াতে সাহায্য করে

বাচ্চাদের জন্য মায়ের দুধের কোনো বিকল্প হতে পারে না। মায়ের দুধ থেকেই একটি বাচ্চা তার পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি ও অন্যান্য সব কিছু নিয়ে থাকে। কিন্তু, শিশু ধীরে ধীরে মায়ের দুধ খাওয়া কমিয়ে দিলে তাকে দুধের পুষ্টিগুণের সমপরিমাণ খাবার দিতে হয়, নইলে শিশুর শারীরিক ও স্বাস্থ্য বিকাশে সমস্যা হবে। এই সমস্যা থেকে ঘি একটি কার্যকরী উপাদান হিসেবে কাজ করে। কারণ ঘি তে প্রয়োজনীয় পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, চর্বি ও উন্নত ক্যালরি থাকে যা শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

শিশুদের হজমশক্তি বাড়ায়

দই ও ঘি সকল খাবারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হজমের কাজ করে থাকে। ঘি খেলে তা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্যকারী এনজাইম ও এর অণুজীবগুলোকে ক্রিয়ান্বিত করে। এর ফলে বাচ্চাদের পেটে থাকা বিভিন্ন দূষিত পদার্থ দূর করে অ্যাসিডিটি কমায় এবং হজমের প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে। ঘিতে থাকা বুটিরিক এসিড বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

হাড়ের গঠন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে

ঘিতে অনেক ভালো পরিমাণে মিনারেল যেমন পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, জিংকসহ নানা উপাদান থাকে। এই উপাদানগুলো বাচ্চাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। ক্যালসিয়াম শিশুর দেহের হাড়ের গঠনে সাহায্য করে। এই ছোট বয়স থেকেই দেহের হাড়ের গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। যদি এই সময় গঠন প্রক্রিয়া দুর্বল হয়, তাহলে অটিজমসহ নানা সমস্যা তৈরি হয়। ভবিষ্যতে ঠিকমতো হাঁটাচলা করা ও অন্যান্য কাজ করার জন্য বাচ্চাদের এই বয়স থেকেই সুস্থ ও শক্তিশালী হাড়ের গঠন খুবই জরুরী। ঘি তে থাকা ভিটামিন ডি ও ভিটামিন কে ক্যালসিয়াম তৈরি করে।

কাশির সমস্যা দূর করে

বাচ্চারা প্রায়ই খুসখুসে কাশিতে ভুগে। এই কাশি অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। আবহাওয়া পরিবর্তন, পরিবেশের ধুলোবালির জন্য অনেক শিশু সহজেই আক্রান্ত হয়। তাই নিয়মিত পরিমাণ ঘি খেলে শুকনো কাশি দূর করা সম্ভব। এজন্য বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় হালকা গরম পানিতে দুই চামচ ঘি মিশিয়ে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ঘি সহ অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টিমাইক্রোবিয়াল রয়েছে যা ছোট থেকেই শিশুদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে থাকে। বিশেষ করে ঘি তে থাকা এন্টিমাইক্রোবিয়াল (antimicrobial resistance) এর কারণে যদি কোনো রোগ থেকেও থাকে তাহলে তা ছড়ানো বন্ধ হয় অর্থাৎ শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে। 

থাইরয়েড গ্রন্থি সচল রাখতে সহায়তা করে

মানুষের দেহে যেহেতু হরমোনের ভূমিকা অনেক বেশি তাই শিশুদের জন্য ওই সময় থেকেই তা উন্নত করতে নজর দিতে হবে। শরীরে হরমোন তৈরি হয় বিভিন্ন স্থানে থাকা গ্রন্থির মাধ্যমে। আয়োডিন নামক খনিজ উপাদানের কারণে এসকল গ্রন্থির পরিচালনা সম্ভব হয়। ঘি তে এই উপাদান প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ২-৪ মাইক্রোগ্রাম পরিমাণ থাকে যা গলার ফোলাভাব কমায়, এর সাথে থাইরয়েড গ্রন্থি (thyroid gland) ও পিটুইটারি গ্রন্থি (pituitary gland) হতে হরমোনের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শিশুর দৈহিক বিকাশে এটি সবচেয়ে বেশি সহায়ক।

আমরা বাচ্চাদের ঘি খাওয়ানোর নিয়ম সহ সাধারণ মানুষদের জন্য ঘি খাওয়ার পূর্ণ নিয়ম নিয়ে আপনাদের সুবিধার জন্য আমাদের অন্য পোস্টে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।

চুলকানির সমস্যার সমাধান করে

শিশুদের সারাদিন শুয়ে থাকার কারণে তাদের শরীরে অনেক সময় ফুসকুড়ি, চুলাকনির সমস্যা দেখা যায়। এমনকি, একজিমাও হতে পারে। বাচ্চাদের শরীর অনেক কোমল হয়। তাই, যখন দেখবেন আপনার শিশু এমন সমস্যায় ভুগছে, সেই আক্রান্ত স্থানে ঘি মেখে দিলে আরাম পাওয়া যাবে। বাচ্চাদের শরীর অনেক কোমল হয় এবং এতে থাকা এন্টিমাইক্রোবিয়াল জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। ফলে সকল ধরনের চুলকানি সমস্যার সমাধান হবে।

ঘি তে যে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তা দেহে নতুন জীবাণু সহজে প্রবেশ করতে দেয় না। তাই নিয়মিত বাচ্চাদের দেওয়া বর্তমানে অনেক জরুরী।

ঘি খাওয়ার পুষ্টি উপাদান, নিয়ম ও বিশেষ করে বাচ্চাদের ঘি খাওয়ার নিয়ম জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন।

ঘি ব্যবহারের উপকার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

বোঝার সুবিধার্থে ঘি খাওয়ার উপকারিতার কিছু তথ্য আপনাদের জন্য তুলে ধরছি, যাতে আপনাদের বিভিন্ন রোগ অ তার নিরাময় সম্পর্কে বুঝতে সুবিধা হয়।

হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয়

ঘি তে বিউটারিক এসিড, কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড (CLA) ও বিভিন্ন এনজাইম থাকে যা খাবার ভাঙতে সাহায্য করে এবং দেহে হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। ঘি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পেটের প্রদাহ কমায়।

হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

ঘিয়ে ভিটামিন কে, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস থাকে। উপাদানগুলো শরীরের হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখে, অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায় এবং গাঁটগোড়ের তরলকে স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।

ওজন কমাতে ঘি এর পাশাপাশি চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম জানতে চান? তাহ্লে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে নিন।

ঘি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক

ঘিতে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড, কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড (CLA), ভিটামিন এ, ভিটামিন ই এবং কেটোনস নামক উপাদান থাকে। এই উপাদান মস্তিষ্কের কোষের বৃদ্ধিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত ঘি খেলে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ, মেজাজ নিয়ন্ত্রণ এবং কিছু নিউরোডেজেনারেটিভ রোগের চিকিৎসায় কাজে আসে।

ত্বক ও চুলের জন্য বেশ উপকারী

ঘিতে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ফ্যাটি অ্যাসিড, বিউটারিক এসিড ইত্যাদি থাকার কারণে ত্বকের কোষ দ্রুত নতুন করে তৈরি হয় যার ফলে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়ে উঠে। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। খাঁটি ঘি চুলে মাখলে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং চুল পড়া রোধ হয়।

শরীরের প্রদাহ কমাতে এক অনন্য উপাদান

ঘিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা দেহের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি গর্ভাশয়ের ফাইব্রয়েড, গন্ধি এবং আর্থ্রাইটিস এর মতো নানা প্রদাহজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়।

ঘি খেলে দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়

চিয়া সিডের পুষ্টিগুণ ও ওজন বাড়ানো নিয়ে সংশয়? আমাদের এই পোস্টটি পড়লে সব সংশয় দূর হয়ে যাবে।

দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়ক

শীতকালে আমরা অনেকেই প্রচণ্ড শীত অনুভব করে থাকি। ঘি তে স্যাচুরেটেড এবং মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা থেকে আমাদের শরীরে ‘থার্মোজেনেসিস’ নামক এক প্রক্রিয়ার তৈরি হয়। থার্মোজেনেসিস হচ্ছে এমন এক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে খাদ্য হজম ও শোষণের সময় তাপ উৎপন্ন হয়। এজন্য, ঘি খেলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা উন্নত করে

ঘিতে ভিটামিন এ, ডি, ই, কে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ থাকে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এই ভিটামিন আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করে তাই ছোট রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

পরিমিত ঘি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে

অনেকে ভাবি ঘি খেলেই ওজন বাড়ে। কিন্তু না, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে ঘি তে যে অ্যামিনো এসিড রয়েছে তা শরীরে জমা অতিরিক্ত চর্বি ঝড়ায়। এতে ওজন কমতে থাকবে। ঘি আপনার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বাঁচায়। গরম পানির সাথে ঘি মিশিয়ে খেলে ওজন আরও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

ঘি এর উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আমরা আপনাদের কাছে পূর্ণ তথ্য রাখলেও দেখতে পারি যে ঘি এর উপকারিতাই বেশি, যতক্ষণ না আমরা মাত্রাতিরিক্ত গ্রহণ করছি।

আপনি তিস্তা ফুডে আমাদের নিজেদের বানানো সেরা মানের খাঁটি গাওয়া ঘি পাবেন। অর্ডার করতে আমাদের ওয়েবসাইটে গাওয়া ঘি এর পেইজে এখনই ভিজিট করুন বা কল করুন +8801737084429 এই নম্বরে।

আমরা আমাদের অন্য পোস্টে কিভাবে আপনি খাঁটি ঘি বানাবেন, কতটুকু দুধ লাগবে তা নিয়ে আপনাদের জন্য বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

 

ঘি কি ফ্রিজে রাখা যায়?

হ্যাঁ। ঘি  একটি জারে ভরে ফ্রিজে রাখতে পারেন । তবে, ঘি ব্যবহারের আগে সাধারণ তাপমাত্রায় রেখে দিলে গলে তরল হয়ে যাবে এবং ব্যবহারে সুবিধা হবে। কেনা ঘি শেষ করতে তিন মাসের বেশি সময় লাগলে ফ্রিজে রাখা ভালো। দেখতে হবে, এর গন্ধ ও স্বাদে কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না। কিন্তু, ঘি এক বছরের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। গাওয়া ঘি বানানোর প্রক্রিয়া আলাদা। এই ঘি ফ্রিজে বেশিদিন রাখবেন না।

 

তথ্যসূত্র

WebMDGhee: Health Benefits and Nutrition – WebMD

National Institutes of Health (NIH) (.gov): Health benefits of ghee: Review of Ayurveda and modern science perspectives

Dr. Axe: Ghee: Is It Better Than Butter?

Healthline: Ghee: Is It Healthier Than Regular Butter?

NDTV: Winter Diet: 10 Health Benefits Of Consuming Ghee In Winters

ScienceDirect.com: Health benefits of ghee: Review of Ayurveda and modern science perspectives – ScienceDirect

 

ঘি এর শুদ্ধতা বজায় রাখতে ঘি কে কাঁচের জারে বা স্টিলের তৈরি পাত্রে সংরক্ষণ করা সবচেয়ে ভালো। নইলে, এটি পাত্রের অন্যান্য উপাদানের সাথে ক্রিয়া করবে এবং গুনগত মানকে প্রভাবিত করবে।

পুরনো ঘি সতেজ করার উপায় হচ্ছে, প্রথমে অল্প পরিমাণে দই দিয়ে সিদ্ধ করুন। এরপর এক কেজি ঘি তে ২ টেবিল চামচ পরিমাণ দই দিন। এরপর ফোটানোর পর তা ঠাণ্ডা করে ছেঁকে আবার ব্যবহার করুন।

কাঁচের জারে ঘি গরম দেওয়া যাবে। আপনি কাঁচের জারটি চুলোয় দিয়ে অল্প তাপে গরম করতে পারবেন। সরাসরি জার না দিয়ে কড়াই বা প্যানের উপর রেখে গরম করতে পারবেন। তবে, এটি উচিত নয়। ঘি গরম করতে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে দিলে এমনিই গরম হয়ে যাবে। গরম ঘি জারে ঢাললে জার ফেটে যেতে পারে।

অবশ্যই ঘি গরম করা ভালো। ঘি গরম করলে তেমন কোনো ক্ষতি হয় না এবং আপনি উচ্চ তাপে রান্নার কাজে ঘি ব্যবহার করতে পারবেন। ভাত বা খিচুড়ির সাথে গরম ঘি আমাদের খাওয়ার মজা দ্বিগুণ করে তোলে।

Mobasher Khan

Mobasher Khan is a skilled content writer with expertise in SEO. He has successfully contributed to companies like Tista and Tista Food, where his engaging content and SEO skills were highly valued. Mobasher sharpens his writing and digital skills through research and technical writing. He was the runner-up in Content Mania, showcasing his talent for creating compelling content. Beyond work, Mobasher loves exploring different industries and writing. His diverse interests fuel his creativity and versatility as a content writer. Mobasher is dedicated to excellence and continually seeks new learning opportunities to help organizations succeed.

Leave a Reply